গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকার ডেগেরচালায় মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায়
‘ধর্ষক’ শিক্ষক ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে গাছা থানা পুলিশ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওরফে আ. রহমান (২২) শিশু ছাত্রটিকে ধর্ষণ করেন।
নিপীড়িত শিশুছাত্রের অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওরফে আ. রহমান (২২) কয়েক মাস ধরে তাকে গালে অস্বাভাবিকভাবে চুমু খাওয়াসহ শরীরের গোপন স্থানে স্পর্শ করতেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৫টায় বিস্কুট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রকে তার বিছানায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনা শিশুটি তার বাবাকে জানালে বাবা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং আরও দুই শিক্ষককে জানান। শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে আশ্বস্ত করে কালক্ষেপণ করেন।
এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবা আবার শিক্ষকদের দ্বারস্থ হলে তারা বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ভিকটিমের বাবা মো. বাচ্চু মিয়া কোনো প্রতিকার না পেয়ে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ‘ধর্ষক’ শিক্ষককে আটক করতে গেলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও অন্য দুই শিক্ষক বাধা দেন। পরে ভিকটিমের পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিত গাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় এবং পেনাল কোডের ১৮৬/৩৫৩/২০২/১০৯ ধারায় মামলা রেকর্ড হয়। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষক, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং অন্য দুই শিক্ষককে গাছা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
সুত্রঃ ঢাকাটাইমস