ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লিখেছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভুক্তভোগী এক স্কুলছাত্রী। চিঠিতে ওই ছাত্রী অভিযুক্ত মুরাদুজ্জামান মুকুল (৪৮) নামের এক কলেজ প্রভাষককে ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, আমি তাকে পা ধরে বলেছিলাম, আংকেল আমি অসুস্থ, আজ আমাকে ছেড়ে দিন, কিন্তু সেদিনও আমাকে ছেড়ে দেয়নি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সেই চিঠির ফটোকপি পেয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
ধর্ষণের মামলায় মুরাদুজ্জামান মুকুলকে চলতি বছরের ১২ মে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুরাদুজ্জামান মুকুল ধুনটের জালশুকা হাবিবুর রহমান কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ছিল। ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে কলেজের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুকুল ভাড়া বাসায় থাকত। ওই বাড়ির মালিকের দুই বছর বয়সী মেয়ে খেলা করতে প্রায়ই মুকুলের ফ্ল্যাটে যাওয়া-আসা করত। সেই সুবাদে বাড়ির মালিকের বড় মেয়ে সেই স্কুলছাত্রীও সেখানে যেত। মুকুলের স্ত্রী স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ায় তিনি বাড়িতে থাকতেন না। এই সুযোগে মুরাদুজ্জামান গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক মাস আগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সে সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে।
এদিকে, ধর্ষণের মামলার আলামত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে। পরে মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়। কৃপা সিন্ধু বালাকেও ধুনট থেকে বদলি করা হয় পাবনা জেলায়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই স্কুলছাত্রী। মামলার আলামত নষ্টের প্রসঙ্গ জানার পর ঘটনার বিচার নিয়েও সে হতাশ হয়ে পড়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সে ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ সম্বোধন করে ধর্ষকের শাস্তি দাবি করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রী।
সুত্রঃ আরটিভি