ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আবদুল মুহিত (৪৮) নামে ওই শিক্ষককে আসামি করে সরাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর বাড়ি জেলার বিজয়নগর উপজেলায়। তবে মা সৌদি আরবে এবং বাবা মালয়েশিয়াতে থাকায় সে সরাইলের বুড্ডা গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। গত বুধবার প্রতিদিনের মতো সকালে সে বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীনভাবে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। বিকেল ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হলে শিক্ষক আবদুল মুহিত সব শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেও কৌশলে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। সুযোগ বুঝে শিক্ষক মুহিত দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানির কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে ছাত্রীর মামা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সুত্রঃ বাংলা নিউজ.২৪