শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্লে শ্রেণিতে পড়ুয়া ছয় বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে উত্যক্ত ও যৌন নিপিড়নের অভিযোগে মোনায়েম বিল্লাহ (২২) নামে এক গৃহশিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন এ দণ্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে শহরের কাচারিপাড়া মহল্লার জনৈক ব্যক্তির ওই শিশুকে প্রতিদিনের ন্যায় বাসায় প্রাইভেট পড়াতে যান তাদেরই গৃহশিক্ষক মোনায়েম বিল্লাহ। এসময় শিশুটির মা-বাবা দু’জনেই বাসার বাইরে থাকায় মোনায়েম ওই শিশুকে পড়ানোর পরিবর্তে উত্যক্ত এবং যৌন নিপিড়ন করে। হঠাৎ শিশুটির মা বাসায় এসে ঘটনা দেখে ফেললে আশপাশের লোকজন ডেকে ওই গৃহশিক্ষককে আটক করেন।
খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে গৃহশিক্ষক মোনায়েম অপরাধ স্বীকার করায় তাকে ৯ মাস ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাকে ৫শ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন জানান, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি এবং সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় আসামিকে ৯ মাস ২০ দিনের সাজা প্রদান করা হয়।
সুত্রঃ একাত্তর টিভি
4 comments
আমি একজন শিক্ষক কিন্তু যখন শিক্ষকদের এই সমস্ত নোংরা ঘটনার কথা শুনি তখন সত্যি নিজের প্রতি লজ্জা লাগে
মানুষরূপী এসব জানোয়ারদের আল্লাহ পাক হেদায়েত করুন। সেই সাথে বিচারের মাধ্যমে আরো এমন কঠিন সাজা প্রদান করা হোক
বাচ্চারা কোনো জায়গায় নিরাপদ নয় এখন তা সে ছেলে শিশু হক বা মেয়ে শিশু। তাই বাড়ীতে বা স্কুলে যেখানে বাচ্চাদের পড়তে পাঠান না কেন অবশ্যই নজরদারিতে রাখতে হবে, যাতে কোন দূর্ঘটনা না ঘটে
শিক্ষকদের যদি কোমলমতি শিশুরা নিরাপদ না হয়, তাহলে তাদের শিক্ষকতা পেশায় আসা দরকার নেই