এসএসসি পরীক্ষার দিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বপ্ন দেখছিল যে মেয়েটি। সে এখন নিজের সম্ভ্রম হারিয়ে মুখ লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি মেয়েটির মাও অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শায়।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এ সুযোগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে হাসান আলী তার বন্ধু মাসুদ মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিজামপুর ইউপির কন্দপপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতাকৃতদের নাম হাসান আলী ও মাসুদ।
ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার তার পরীক্ষা থাকায় গত বুধবার রাত জেগে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই শিক্ষার্থীর মা অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে ছিলেন। এ সুযোগে বড় নিজামপুর গ্রামের শাহাজান মল্লিকের ছেলে হাসান ও তার আরো চার বন্ধুকে নিয়ে রাতে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে ঢুকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে হাসান ও মাসুদ নামে দুইজনকে আটক করে। তবে নাসিম, নুরুজ্জামান ও সাকিব নামে আরো তিনজন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের পুলিশে দেয়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুতই ধরা পড়বে সবাই। এরপরই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ বাংলাভিশন নিউজ
3 comments
ফাঁসি চাই এই জানোয়ারদের সবার সামনে ফাঁসি দিলে মানুষ দেখবে আর এমন জানোয়ার তৈরি হবে না
আসলে মেয়েদের life টা অনেক কষ্টের, তারা যে স্বাধীন ভাবে চলাচল করবে সেই safety টাও নেই। আমি ধর্ষণের বিচার ৭দিনের মধ্যে শেষ করার দাবি জানাচ্ছি
এত দিন রাস্তায় নারীদের নিরাপত্তার অভাব ছিল। আজ দেখছি ঘরের মধ্যেও নারীরা নিরাপদ রাষ্ট্র আর কবে নারীদের নিরাপত্তা দিবে। তাই এইসব নরপিশাসদের জনসম্মুখে এনে সবোর্চ্চ শান্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক । যাতে এদের শাস্তি দেখে অন্যরা এমন জঘন্ন অপরাধ করতে সাহস না পায় ।