সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার গোয়াবাড়িতে মুজিববর্ষে উপহারের ঘরে বসবাসকারী এক বিধবা নারীকে ধর্ষণ ও তার নবজাতক সন্তানকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার অভিযোগে ফখরুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ অক্টোবর) জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে একই দিন বিকেলে মাটিচাপা দেওয়া নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ফখরুল ইসলাম নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
জানা গেছে, জৈন্তাপুর উপজেলার গোয়াবাড়ি গ্রামে গত বছর মুজিববর্ষের উপহারের ঘর পান গ্রামের এক মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর (৩৫) স্বামী মারা গেছেন। এক ছেলেকে (৮) নিয়ে প্রথমে বাবার আশ্রয়ে ও সর্বশেষ সরকারি ঘরে বসবাস শুরু করেন। একই গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী নারী। শুক্রবার ভোরে তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ফখরুল নবজাতক শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে স্থানীয় সইদুরের বাড়ির পাশে মাটিচাপা দেন। এ সময় সাইদুরের মা বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে সংবাদ দেন।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত ফখরুল মেম্বারের বিরুদ্ধে এলাকায় অনৈতিক সম্পর্কের বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নবজাতক হত্যার অভিযোগে মামলা হবে। তবে ফখরুলের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত। তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত যারাই হোক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে পুলিশ।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ