মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মহানগরের স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শনিবার সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় এসআই আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবুল বাশারকে আদালতে নেওয়া হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবুল বাশার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারিপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী বরিশাল মহানগরের বিমানবন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা।
কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিমুল করিম শনিবার বিকেলে জানান, এসআই আবুল বাশারের বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণ মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কোতয়ালি মডেল থানা এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর এসআই আবুল বাশারের সঙ্গে পরিচয় হয় ভোক্তভোগী ওই নারীর। তখন দু’জনের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। ১৩ অক্টোবর একটি মামলার বিষয়ে এসআই আবুল বাশারকে ফোন করেন ভুক্তভোগী নারী। তখন ওই নারীর অবস্থান জানতে চান আবুল বাশার। বাদী (ভুক্তভোগী নারী) তার অবস্থান জানালে সেখানে যান এসআই আবুল বাশার। তখন ভুক্তভোগী নারীকে ফুসলিয়ে নগরীর প্যারারা সড়কের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান আবুল বাশার। ওই হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষে বসে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার একপর্যায়ে আবুল বাশার জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিকেল ৫টার দিকে কাঁদতে কাঁদতে হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে যান ওই নারী। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।
আবুল বাশারের বিরুদ্ধে স্টিমারঘাট এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। এছাড়া আবুল বাশার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় এক সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় তিনি সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল
10 comments
এটাই বাংলাদেশ পুলিশের আসল পরিচয়, বিচার চাহিয়া লজ্জা দিবেন না
চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, গুম,খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যার সাথে আমাদের সোনার বাংলার পুলিশ জড়িত নয়।
কি ভয়াবহ অবস্থা যে পুলিশের নিরাপত্তা দেবে সে পুলিশে যদি ধর্ষণ করে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কার কাছে গিয়ে আশ্রয় পাবে?
হোটেল ব্যবস্থাপনায় জড়িত কর্তা ব্যক্তিদের দায়বদ্ধতা এবং স্বচ্ছতা- জবাবদিহিতার বিষয়টিকে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে একজন নিরীহ হোটেল বর্ডারকে কোনভাবেই বহির্বিভাগের কোন ব্যক্তি কোন ধরনের ক্ষতি এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণ ঘটাতে না পারে
রক্ষক যখন ভক্ষক! পুলিশ যেখানে সুরক্ষা দেবে সেখানে সম্ভ্রম কেড়ে নেয়। এটাই সবচেয়ে ভয়ের কথা।
এসব জঘন্য কাজের বিচার হয় না বলেই দিন দিন অপরাধ বাড়ছে। পুলিশ পরিচয়ে এসব জঘন্য কাজ ছি ছি। ধিক্কার জানাই
এটাই হলো বাংলাদেশের পুলিশ এর থেকে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
এই ধর্ষণের শাস্তি হওয়া উচিত। যেনো রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বের হতে না পারে
সাধারণ মানুষ খুবই অসহায়। একদিকে সরকার বাহিনী, আর অন্যদিকে পুলিশ বাহিনী। রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে যায়, তখন আর বিচার থাকে না। আমরা এর সুস্থ বিচার দাবী করছি। এমনভাবে দেশ চলতে পারে না।
যেখানে পুলিশ সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা দিবে,আর সেখানে পুলিশের এই কর্মকাণ্ড, কিভাবে মানুষ পুলিশদের বিশ্বাস করবে,পৃথিবীর আর কোনো দেশে এরকম জঘন্যতম কাজ পুলিশ করার সাহস পায় না, এটা বাংলাদেশ বলেই সম্ভব