রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রী নির্যাতন ও অন্যান্য বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় নুসরাত জাহান কেয়া নামে এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানি, মানসিক নির্যাতন ও জোর করে অঙ্গীকারনামা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নুসরাত মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী ও ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। এ নিয়ে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
নুসরাত জাহান কেয়া অভিযোগ করেন, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার কারণেই আমাকে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য বিভাগে গেলে শিক্ষকরা আমাকে অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে যান। সেখানে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাকে আটকে রাখা হয়। সেখানে টানা ৬ ঘন্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এতে এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুপ্রিয়া দাসকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অন্তর্কোদলের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কেয়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি টাকা দিয়ে হলে উঠেছিলেন। কিন্তু ভয়াবহ নির্যাতনের কারণে দুই দিনের বেশি তিনি হলে থাকতে পারেননি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ও ক্যান্টিন থেকে চাঁদা আদায় করেন। ছাত্রীদের হলে ওঠতে আট থেকে ১০ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া প্রতি মাসে দুই হাজার করে টাকা নেন।
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল
2 comments
দেশের স্বনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি এমন নিল্জ্জ, অসামাজিক কায্য কালাপ চলে তাহলে
আগামী জেনারেশন কোথায় গিয়ে দাড়াবে।
৬ ঘন্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করার অপরাধে শিক্ষকদের বিচার করা হোক