মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় আফরোজা-রমজান বালিকা মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ওই ছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। আটক মোস্তফা কামালের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়ি জেলার সিংগাইর উপজেলার গোলাই মাটিকাটা গ্রামে। সে ওই মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগের হিফজ শাখায় অধ্যয়নরত।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অভিযুক্ত মাওলানা মোস্তফা কামালকে মাদ্রাসা থেকে আটক করা হয়। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসাছাত্রী মানিকগঞ্জ পৌরসভার নয়াকান্দি এলাকার আফরোজা-রমজান বালিকা মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে পড়ালেখা করতো। সোমবার সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল ওই ছাত্রীকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তার শরীরের গোপন জায়গায় আপত্তিকর অবস্থায় স্পর্শ করে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। সেসময় ওই মাদ্রাসাছাত্রী চিৎকার করলে অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল তাকে ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সেজো বোনকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানালে মেয়েটির দুলাভাই মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির পরিবার এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি। মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রীর মা বলেন, মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। কিন্ত মাদ্রাসার শিক্ষক আমার মেয়ের সর্বনাশ করার চেষ্টা করেছে। আমরা কোথায় গেলে নিরাপত্তা পাবো? আমি ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসা শিক্ষকে আটক করা হয়েছে।
সুত্রঃ দৈনিক ঢাকা পোস্ট
4 comments
মাদ্রাসার পরিচালনায় সরকারের নীতিমালা খুবই প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি শারীরিক নির্যাতিন হয়।
এই ভন্ড শিক্ষককে জুতার মালা পড়িয়ে ওকে মাদ্রাসা চত্ত্বরে নাকে খৎ দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা দাবি জানাই
সমাজের এ কি অবস্থা কোথায় কোন নিরাপত্তা নেই কি মাদ্রাসা শিক্ষকরা হায়েনার মত ওৎ পেতে থাকে। কখন শিকার আসবে আর হামলা করবে। ছি
চরিত্রহীন অধ্যক্ষ কোন ভালো কিছু শিখাতে পারে না কারণ তার মধ্যে আল্লাহর ভয় কাজ করে না