মাদ্রাসাসহ তথা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুর প্রতি শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা নতুন নয়। এসব অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে অনেকে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, এখনো অনেকে কারাবাসে আছেন। দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের শতাধিক মামলা তদন্ত ও বিচারাধীন রয়েছে।
গণমাধ্যমগুলোর আর্কাইভে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোমলমতিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে বহু ঘটনার ভিডিও রেকর্ড ও প্রতিবেদন জমা আছে।
তবে সম্প্রতি মাদ্রসার বিভিন্ন হিফজখানায় শিক্ষার্থীদের প্রতি কড়া শাসন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
আলোচিত ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিক উল্লাহ আফসারির একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়। ওই ভিডিও ক্লিপে আফসারি মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের বিষয়টিকে সামনে আনেন এবং শিক্ষকদের নির্যাতনে অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন। তিনি অভিভাবকদের অনুরোধ করেন, কোনো শিশুকে বোর্ডিংয়ে (মাদ্রাসার আবাসনে) দেবেন না। শিশুরা মায়ের কাছ থেকে হিফজখানায় গিয়ে কুরআন শিখবে।
মাওলানা আফসারির এমন বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি কি হিফজখানায় অবুঝ শিশুরা এতটা নির্যাতিত হচ্ছে? অথচ শিশুদের যেকোনো পাঠশালায় শাসনের নামে নির্যাতন ইসলামি শরীয়তে নিষিদ্ধ।
তাহলে হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় কেন শাসনে এতো কড়াকড়ি? শিশুরা কেন মারধর, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে? তবে কি মাদ্রাসায় কোমলমতিদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত শাসন হচ্ছে না? স্কুল-কিন্ডারগার্টেনে তো শাসনে এমন কড়াকড়ি দেখা যায় না।
আবাসন ব্যবস্থায় না গিয়ে বাসা থেকে হিফজুল কুরআন শেখাতে অভিভাবকদের তাগিদ দিয়েছেন মাওলানা আফসারি।