সাতকানিয়ায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের নাম নুরুল ইসলাম (২৩)। গত বুধবার বিকালে ছদাহা গাউছিয়া তাহেরিয়া ছাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ওই শিক্ষক তার শয়নকক্ষে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলাম বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ডিগ্রী পাড়ার মৃত রৌশনুজ্জামানের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বলেন, আমার মেয়ে ছদাহা গাউছিয়া তাহেরিয়া ছাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মাদ্রাসার ছুটির পর ওই মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো। আমার মেয়ে গত বুধবার মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়িতে এসে দুপুরের খাবারের পর প্রাইভেট পড়ার জন্য পুনরায় মাদ্রাসায় যায়। তখন শিক্ষক নুরুল ইসলাম অন্যান্য ছেলে মেয়েদের সাথে আমার মেয়েকেও শ্রেণিকক্ষে পড়ানো শুরু করে। কিছুক্ষণ পর শিক্ষক নুরুল ইসলাম তার শয়নকক্ষে ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে আমার মেয়েকে সেখানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মারধর করার হুমকি দেয়। আমি বাবার বাড়িতে থাকায় ঘটনার দিন এ বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। পরের দিন ঘরে আসার পর আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন আমার মেয়ের রক্তমাখা কাপড় নিয়ে আমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠতা মো. হাসানের কাছে গিয়ে বিস্তারিত জানায়। তারা বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংসার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে কোনো বিচার পায়নি। পরে আমি ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করি।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর রোববার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষককে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
সুত্রঃ দৈনিক আজাদী