লক্ষ্মীপুর কমলনগরে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাইভেট) লিমিটেডের প্রকৌশলী মো. নাহিদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ১৫ হাজার টাকায় রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ দিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত নাহিদকে কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত করেন। পরে গোপনে তিনি কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান। এর আগে রোববার (৩০ অক্টাবর) সকালে উপজেলার মাতাব্বর হাট ব্লক কারাখানার ভেতর ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়। পরে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাটি ছাত্রীর পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার পরামর্শ দেন সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। তিনি মধ্যচর জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
ভুক্তভোগী শিশু উপজেলার মধ্যচর জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত নাহিদ ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাইভেট) লিমিটেডের মাতাব্বরহাট ব্লক কারখানার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলছাত্রী ও স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রীর স্কুলের কাছেই ব্লক কারখানা। দুই মাস ধরে প্রকৌশলী নাহিদ তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছে। ঘটনার সময় প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কারখানার ভেতরে ব্লকের আড়ালে নিয়ে নাহিদ ধর্ষণচেষ্টা করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এতে সে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পায়। পরদিন ইউপি চেয়ারম্যান ১৫ হাজার টাকা ঘটনাটি দফারফা করেন। পরে গোপনে নাহিদ কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান।
ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে তার কাছ থেকে লিখিত নিয়েছে। ১৫ হাজার টাকা দিবে বলে তাকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আমি ছাত্রীর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সমঝোতা কিংবা রফাদফার বিষয়ে কোনো মতামত প্রকাশ করিনি।
ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাইভেট) লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. বোরহান বলেন, নাহিদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি কর্মস্থল থেকে চলে গেছে। টাকা দিয়ে কোনো ঘটনা রফাদফা করা হয়নি। স্থানীয় একজন গার্ডের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই নাহিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ