মা-মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেনসহ ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। গাজীপুর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, একই থানার দুই উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ও প্রসেঞ্জিত কুমার।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ১ মে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে দারুস সালামের ওয়াকআপ কলোনির একটি বাসা থেকে মাদক ও নারী ব্যবসায়ী রুবেল ইসলামসহ একটি মেয়েকে আটক করে নেশা জাতীয় দ্রব্য, ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
বাদী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাকে বিষয়টি পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করে। আব্দুর রাজ্জাক প্রথমে বিষয়টি পরিচিতি ডিবির এএসআই নজরুল ইসলামকে জানান। কিন্তু তিনি ঢাকায় না থাকায় ডিবির এডিসি সাইফুলকে জানাতে বলেন। তিনি বিষয়টি এডিসিকে জানান।
এডিসি বিষয়টি দারুস সালাম থানা পুলিশকে জানায়। এরপর উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে রুবেলকে দেখে গ্রেপ্তার না করে বরং আব্দুর রাজ্জাকের ওপর রাগান্বিত হন এবং তাকে গালিগালাজ করেন রফিকুল ইসলাম।
পরে থানায় গিয়ে তিনি ওসি জামাল হোসেনকে বিষয়টি জানান। জামাল হোসেন বাদীকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে জামাল হোসেনও তার ওপর রাগান্বিত হয়ে গালিগালাজ করেন। আব্দুর রাজ্জাক গালিগালাজ না করতে অনুরোধ করলে আসামিরা বাদীকে মারধর করেন।
এ সময় বাদীর মা ও মেয়ে তাকে বাঁচাতে যান। পরে আসামি প্রসেঞ্জিত বাদীর মেয়ের বোরকা ও নেকাফ ধরে টান দিয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন।
বাদী আসামিদের জানান, তিনি থেলাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত। তাকে বেশি আঘাত করলে শারীরিকভাবে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ কথা শোনার পর আসামি তাকে আরও মারধর করেন।
একপর্যায়ে বাদী অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আবার থানায় নিয়ে আসে। এরপর আসামিরা বাদীকে বাসা থেকে ডেকে থানায় নিয়ে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয়।
সুত্রঃ আমার সংবাদ