বামে উপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনায় নিহত রুবিনা আক্তার ছবি নিচে গাড়িটি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা ও ডানে ভাই মিলনের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া নারীকে টেনে নেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে তাকে চাকরিচ্যুত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া ওই নারীর নাম রুবিনা আক্তার (৪৫)। তার বাসা রাজধানীর তেঁজগাওয়ের হুন্ডার গলি এলাকায়। রুবিনা আক্তারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ওই নারীর দেবর নুরুল আমিন জানান, তাদের বাসা হাজারীবাগের সেকশন এলাকায়। তেজগাঁও থেকে তিনি ভাবিকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সেকশন এলাকায় যাচ্ছিলেন। শাহবাগ মোড় পার হওয়ার পর একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। সেসময় তার ভাবি ছিটকে পড়েন এবং প্রাইভেটকারের বাম্পারের সঙ্গে আটকে যান। তবে প্রাইভেটকারটি এরপরও না থেমে তার ভাবিকে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় নীলক্ষেত পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রাইভেটকারটিকে আটক করে এবং তিনি ভাবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে যান।
ঢাবিতে গাড়ির নিচে আটকে পড়া নারীকে নিয়েই ছুটল গাড়িটিঢাবিতে গাড়ির নিচে আটকে পড়া নারীকে নিয়েই ছুটল গাড়িটি
নীলক্ষেত পুলিশ ইনচার্জ জাফর শিশির বলেন, ‘জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের মাজারের সামনে গাড়িটি একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়। সেখানে মোটর সাইকেলের আরোহী ওই নারী গাড়ির বাম্বারের সঙ্গে আটকে যান। ওই অবস্থায় গাড়ির ড্রাইভার সেখান থেকে টিএসসি, ভিসি চত্ত্বর, নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত তাকে টেনে নিয়ে আসেন। সেখানে জনতা তাকে আটকিয়ে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে তিনিও মারাত্মকভাবে আহত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে তার চিকিৎসা চলছে।’
এদিকে, প্রাইভেটকারের ওই চালকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ঢামেক হাসপাতালে এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষক চাকরিচ্যুত। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সাবেক শিক্ষক আজহার জাফর শাহ।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক