রাঙ্গামাটির লংগদুতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সাইফুল ইসলাম অভি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আসামির নাম মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। তিনি লংগদুর করল্যাছড়ি আরএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ৪৬ বছর বয়সী রহিম লংগদুর মুসলিম ব্লক ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইনীমুখ গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে হারিয়ে যাওয়া ছাগল খুঁজতে বের হয় ওই ছাত্রী। স্কুলের ছাত্রাবাসের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে আসামি তাকে ডেকে নিজের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ৫ নভেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে লংগদু থানায় মামলা করা হয়।
আদালতে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম অভি।
তিনি বলেন, ‘আসামিকে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাকে ৯০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোখতার আহম্মদ বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি, উচ্চ আদালত থেকে সুষ্ঠু রায় পাবো।’
আদালতের রায়ে বলা হয়, ছাত্রীকে ধর্ষণ করে শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। আসামিকে এ সাজা প্রদান করা হলে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাছে পুনরায় এই বার্তা যাবে যে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং বিচার বিভাগ সবার জন্যই উন্মুক্ত।
সুত্রঃ নিউজ বাংলা ২৪.কম