বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলি কী ধর্ষণের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। প্রশ্নটি ফের উঠেছে তার কারণ, ফের মাদ্রাসা শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১ বছর বয়সী এক ছাত্র। লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীচরে। ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক ফরিদুল ইসলামকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্যাতিতা শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নানা অছিলায় পড়তে আসা ছোট শিশুদের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে চলেছে মাদ্রাসার শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষা কর্মীরা। আর তাতেই কার্যত চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। কামরাঙ্গীচর থানার আধিকারিক মোস্তফা আনোয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্যাতিতা ছাত্রকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম। তার পরে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন।’
নির্যাতিতা শিশুর বাবা জানান, কামাঙ্গীরচরে একটি মাদ্রাসায় পড়ত তার ১১ বছরের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসার শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখান। কিন্তু বাড়িতে ফিরে দিদিমার কাছে ওই লজ্জাজনক কাণ্ডের কথা জানায় শিশুটি। শুক্রবার অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। নরপিশাচের চরম শাস্তি চাইছেন।
সুত্রঃ দৈনিক এই মূর্হূত