নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে বিল্লাল হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে লালপুর পৌষাপুকুরপাড় এলাকার বায়তুল কোরবান জামে মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিল্লাল হোসেন লালপুর পৌষাপুকুরপাড় এলাকার পোশাকশ্রমিক আলমগীর হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে মসজিদের মুয়াজ্জিন রেদওয়ান হোসেন বলেন, ‘এশার নামাজের আজানের সময় মসজিদ থেকে একটি ব্যাটারি চুরি করে পালানোর সময় বিল্লাল হোসেনকে মুসল্লিরা আটক করেন। বিষয়টি মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিনকে জানানো হয়। তিনি বিল্লাকে তার কক্ষে আটকে রাখতে বলেন এবং নামাজের পর মসজিদ কমিটির কাছে হস্তাস্তর করা হবে বলে জানান। এরপর নামাজ শেষে আমরা ইমামের কক্ষে গিয়ে বিল্লালের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বিল্লালের লাশ ঝুলছিল। আমাদের ধারণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বিল্লাল।’
তবে বিল্লাল হোসেনের নানি লাল বানু বলেন, ‘বিল্লাল এই মসজিদে প্রায় সময় নামাজ পড়তে আসতো। সে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। আজ সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। রাতে খবর পেয়ে মসজিদে এসে বিল্লালের লাশ দেখতে পাই। সে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না। কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না আমরা।’
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিল্লাল চুরি করতো। মাইকের ব্যাটারি চুরি করে যাওয়ার সময় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন তাকে আটক করেন। এ সময় এশার নামাজের সময় হয়ে যায়। ফলে তাকে মসজিদের ভেতরে ইমামের কক্ষে আটকে রেখে নামাজ আদায় করেন তারা। নামাজ শেষে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কক্ষের দরজা খুললে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন