আবারও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটলো কলকাতার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন বাবা। তাকে পিটিয়ে মেরেছে সমাজ বিরোধীরা। কলকাতা থেকে শখানেক কিলোমিটার দূরে হাওড়া জেলার শ্যামপুর।
রোববার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সাইকেল চড়ে টিউশন পড়ে ফিরছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। তার অভিযোগ, বাড়ির কাছেই তিন সমাজ বিরোধী ওই ছাত্রীর পথ রোধ করে। তাকে কটূক্তি করে। তার শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা বাবা।
বছর পঁয়ত্রিশের ওই ব্যক্তি মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তার উপর আক্রমণ করে ওই সমাজ বিরোধীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাবাকে বহুক্ষণ ধরে পেটানোর পর এক সময় তার শরীর স্থির হয়ে যায়। সমাজ বিরোধীরা পাশের ঝোপে তার দেহ ফেলে রেখে পালায়।
এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ওই তিন যুবক এলাকারই বাসিন্দা। তাদের দৌরাত্মে এলাকায় বাস করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছিনতাই ও চুরির পাশাপাশি ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে কটূক্তি প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
এ দিনের ঘটনার পর একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিনজনের মধ্যে দুইজন ভাই। তাদের একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি দুইজন এখনো পলাতক।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এবং মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, থমথমে অবস্থা নিহতের পরিবারের।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক