নারী সহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক সচিব (বর্তমানে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা) কাজী শরিফুল ইসলামকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইপিআই সুপারভাইজার আফরোজা পারভীন একই পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলামকে আসামি করে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালের ১২ জুলাই কাজী শরিফুল ইসলাম ওই ইপিআই সুপারভাইজারকে তার কক্ষে একা পেয়ে জাপটে ধরেন এবং ইচ্ছার বিরদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সচিব কিলঘুষি মেরে ইপিআই সুপারভাইজারকে জখম করেন। পরে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আসামী কাজী শরিফুল ইসলামকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারদান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম বলেন, এ মামলার রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ হয়েছি। তাই ন্যায় বিচারের আশায় উচ্চ আদালতে আসামির পক্ষে আপীল করা হবে।
সুত্রঃ এনটিভি নিউজ