চট্টগ্রামে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মরিচ লাগিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে আবু হানিফ (২৩) নামে এক শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের পর শনিবার আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বারো বছর বয়সী ভিকটিম আনোয়ারা উপজেলার ইমাম আজম (রা.) ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল একাডেমির নাজেরা বিভাগের আবাসিকের ছাত্র। ওই ছাত্র কোরআন পড়তে ভুল করায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন করে। পরে ক্ষতস্থানে কাঁচা মরিচ ভেঙে লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আবু হানিফ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ছাত্রের মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। শুক্রবার অভিযোগ দেওয়ার পর রাতে ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষক আবু হানিফকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
মামলার বাদী ওই ছাত্রের মা রেহেনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ইমাম আজম (রা.) ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল একাডেমির আবাসিক ছাত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি আনা হয়। তখন পিঠে জখমের দাগ দেখতে পাই। তখন সে বিষয়টি আমাদের বিস্তারিত জানায়। ছেলে জানিয়েছে, কোরআন পড়তে ভুল করায় তাকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-বিক্ষত করে শিক্ষক। পরে ক্ষতস্থানে কাঁচা মরিচ ভেঙে ঘষে দেয়। এতে নির্যাতনের জ্বালা আরও বেড়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা কোনও শিক্ষকের কাছ থেকে আশা করিনি। এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় মামলা করেছি।’
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন