ভোলায় আওলাদ হোসেনে নামে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, ভরণপোষণ না দেওয়া ও ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ মার্চ) সকালে অভিযুক্ত এসআইয়ের মো. আওলাদ হোসেনের ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রিনা বেগম।
অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন ভোলা সদর উপজেলার বালিয়াকান্দি এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে এবং পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। বর্তমানে ভোলা শহরের অফিসার পাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন। সেখানেই তার স্ত্রী অবস্থান নেন।
অন্যদিকে আওলাদের স্ত্রী রিনা বেগম মানিকগঞ্জ জেলার বাইচাইল গ্রামের বাসিন্দা।
রিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, একবছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আওলাদের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর দু’জন ভালোবেসে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে প্রায় ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ও তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করে। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন তারা।
কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পর যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করতে থাকে আওলাদ। নির্যাতনের অভিযোগে আওলাদের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন। এ অভিযোগে আওলাদকে মুলাদি থানা থেকে ক্লোজড করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। তার স্বামী আওলাদ হোসেন বর্তমানে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে রয়েছেন। এ ক্ষোভে আওলাদ তাকে ভরণপোষণ দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ভোলার আওলাদের ভাড়া বাসায় অবস্থান নেন। কিন্তু তার অবস্থানের খবর পেয়ে বাসায় তালা মেরে পালিয়ে যায় আওলাদের পরিবার।
রিনা আরও বলেন, কোথাও ন্যায় বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে তিনি বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজির অফিস কক্ষে কীটনাশক পান করেন। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন বলেন, আওলাদ তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে রিনাকে নিয়ে আর সংসার করতে চাচ্ছে না। স্ত্রীর অবস্থানের খবর পেয়ে আওলাদের পরিবার বাসায় তালা মেরে পালিয়ে গেছে। আওলাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখা হবে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহীন ফকির বলেন, এসআই আওলাদের স্ত্রী তার ভাড়াটিয়া বাসায় এসে অবস্থান করছে এমন ঘটনা জানা নেই। অভিযোগ পেলে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক