বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বুধবার রাতে গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন।
অভিযুক্ত আবু রায়হান (২২) উপজেলার আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও দরবার শরিফের হেফজ বিভাগের শিক্ষক।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের ১৪ বছর বয়সের শিশু নন্দীগ্রাম উপজেলার আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও দরবার শরিফে হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করত। সে অন্য ছেলেদের মত ওই শিক্ষককের সাথে মাদ্রাসার একটি কক্ষে থাকত। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে সব ছাত্রকে নামাজে যেতে বলেন ওই শিক্ষক। আর এ ছাত্রের সাথে কথা আছে বলে তাকে দেরি করতে বলেন। পরে শিক্ষক আবু রায়হান তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলাৎকার করেন।
বুধবার বিকালে ছেলেটি মোবাইল ফোনে বাবাকে মাদ্রাসায় আসতে বলে। তার বাবা মাদ্রাসায় এলে ওই ঘটনাটি খুলে বলে সে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানায় ফারুক হোসেন। এমন খবর শুনে স্থানীয় লোকজন শিক্ষক আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। এরপর গণপিটুনি দেওয়া হয় তাকে। জানতে পেরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় আনে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলার পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ ঢাকা ঢাইমস্