দুই মাস আগে কুদ্দুস হোসেনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ওই শিশুর মা। প্রথম স্বামীর ঘরে তার ৩ বছরের একটি শিশুকন্যা রয়েছে। গত বুধবার ওই শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান স্বামী কুদ্দুস হোসেনের ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে বাড়ির ছাদে নেয়ার কথা বলে বাইরে নিয়ে যান কুদ্দুস। পরে মাঠের গভীর সেচপাম্পের ঘরে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মনিরামপুরে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সৎ বাবা কুদ্দুস হোসেনের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় মামলা করেছেন ওই শিশুর মা। এদিকে শিশু ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হন ধর্ষক কুদ্দুস হোসেন। তাকে এবং শিশুটিকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কুদ্দুস হোসেন যশোর সদর উপজেলার ডহরসিঙা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
জানা যায়, প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দুই মাস আগে তিনি কুদ্দুস হোসেনকে বিয়ে করেন। প্রথম স্বামীর ঘরে বাদীর তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গত বুধবার মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে বাদী বর্তমান স্বামীর কুয়াদা বাজারের ভাড়া বাসায় ওঠেন। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে ভাড়া বাড়ির ছাদে নেয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের করে নেন কুদ্দুস। এরপর মাঠের গভীর সেচ পাম্পের ঘরে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন কুদ্দুস।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল ইমরান বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন আসামিকে মারধর করে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আমরা আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আসামি ও শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুত্রঃ ডেইলি-বাংলাদেশ