গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সহকারী স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান মোল্যার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানালে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক।
গত বুধবার উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মোল্যা ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত বুধবার ক্লাস চলাকালীন দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি। ওই ছাত্রী বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে মৌখিকভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানায়। ওই ছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মিজানুর রহমানকে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা এটা আশা করি না। এর আগেও তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। তারা কেউ লজ্জা ও ভয়ে অভিযোগ করেনি। কিন্তু আমি এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। পরে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওই ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুলে পাঠিয়ে নিরাপদ মনে করি। কিন্তু শিক্ষক মিজানুর রহমানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমরা হতবাক ও লজ্জিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমানের এলাকায় গেলে, তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আলী চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রী ও অভিভাবকের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়। ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক কমিটি যৌথ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কাশিয়ানি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাহফুজা বেগম বলেন, কোনো লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। ইতোমধ্যে বিষয়টি আমি শুনেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর প্রতিবেদন দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল
4 comments
এসব শিক্ষকদের কারনেই শিক্ষা ব্যবস্থার খারাপ অবস্থা !!! উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত !!
স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন এমন লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোরালো অ্যাকশন নেওয়ার জন্য।
এই রকম শিক্ষক এই দেশের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সবাই মিলে এদেরকে সাইজ করা উচিত।পুলিসের কাছে দিলে দুই দিন পরে আবার ছেড়ে দিবে
এই শিক্ষককে চিরতরে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তার শিক্ষকতা আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হোক