আফগানিস্তানে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নারী বলেছেন, তাদের মধ্য থেকে ফাতিমা মোহাম্মদী, রোকিয়া সাই এবং মালালাই হাশেমি নামে তিনজনকে তালেবান গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় সময় রবিবার সকালে দেশটির রাজধানী কাবুল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা বলেছেন, তারা তালেবানের ‘সহিংসতার’ সম্মুখীন হয়েছেন এবং সমাবেশের সময় তালেবান তাদের ‘মারধর’ করেছে। তালেবান নারীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিক্ষোভে নারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে—‘শিক্ষা আমাদের অধিকার’, ‘শিক্ষা, কাজ, স্বাধীনতা’, ‘আফগানিস্তানের নারীরা এই দেশের প্রতীক’ এবং ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সবাই এক সঙ্গে আছি’।
বিক্ষোভকারী নারীরা বলেছেন, গত দুই বছরে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সমাজ থেকে ‘নারীদের সরিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা চালিয়েছে তালেবান।
এদিকে নার্গিস সাদাত নামে একজন নারী অধিকারকর্মী গত দুই মাস ধরে তালেবানের হেফাজতে আছেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছে। তালেবান নারী ও মেয়েদের প্রতি যে আচরণ করছে সেজন্য বিক্ষোভকারী নারীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তালেবানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পর্যালোচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি চিঠিতে ১৮৫ জন অধ্যাপক, সাংবাদিক ও কর্মী এবং ২৫টি সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংস্থা সমর্থন করেছে। তারা তালেবানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্ব নেতা, জাতিসংঘ, আঞ্চলিক মিত্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সম্মিলিত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার দাবিও জানিয়েছে। ৫৫২ দিন ধরে আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও গত ডিসেম্বর থেকে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার।
সূত্র : আমু টিভি, কালেরকন্ঠ