মাথার চুল না ঢেকে জনসম্মুখে বের হওয়ায় ইরানে দুই নারীর মাথায় দই ঢেলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি। পরে ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি দই নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই নারী একটি দোকানে কেনাকাটার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁদের পাশ দিয়ে এক ব্যক্তি হেঁটে যাওয়ার সময় ওই নারীদের উদ্দেশে কিছু একটা বলছেন। এরপর দোকানের তাক থেকে দইয়ের বাটি নিয়ে ওই নারীদের মাথায় ঢেলে দেন।
দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানে নওরোজ উৎসব (ইরানি নববর্ষ) চলছে। এর মধ্যে মাশহাদ শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই নারী সম্পর্কে মা ও মেয়ে বলে জানা গেছে।
ইরানের বিচার বিভাগ বলেছে, প্রকাশ্যে চুল খোলা রাখা ইরানে অবৈধ। এ জন্য ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া জনপরিসরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য দই নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর চুল না ঢেকে বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে মাহশা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সী এক কুর্দি তরুণীকে তেহরান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ (মোরালিটি পুলিশ)। তিন দিন পর শুক্রবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপর টানা কয়েক মাস দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
ওই সময়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ। এ ছাড়া চারজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার পোশাক ইস্যুতে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করল ইরানের পুলিশ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি বলেছেন, ধর্মীয় নির্দেশনার কারণেই ইরানে নারীদের হিজাব পরা উচিত। এটি একটি আইনি বিষয় এবং তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
সুত্রঃ আজকের কাগজ