নেত্রকোণার পূর্বধলায় গৃহবধূ হত্যা মামলার পলাতক আসামি পুলিশের এএসআইকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। টাঙ্গাইল শহর থেকে শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ফিরোজ খাঁ (৩৫) পূর্বধলা উপজেলার আগমারকেন্ডা গ্রামের আ. সাত্তার খানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন।
নিহত ঝর্ণা আক্তার (৩৭) ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের আলম খানের স্ত্রী।
ময়মনসিংহ র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মো. আনোয়ার হোসেন জানান,
উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের খোয়াজ খার সঙ্গে তার চাচাত ভাই আলম খানের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২৬ (মার্চ) সন্ধ্যায় খোয়াজ খাঁ তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তামান্নাকে (১৭) মারধর করতে থাকলে খোয়াজ খাঁর চাচাত ভাই আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার তা ফিরাতে গিয়ে খোয়াজ খাঁ তাকেও মারধর করে। পরে এর জের ধরে সোমবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে দুপক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের খোয়াজ খানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
তিনি জানান, স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোণা হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্নাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে ঝর্ণা আক্তার মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পূর্বধলা থানার এসআই সাদ্দাম হোসাইন জানান, ওই মালার ২নম্বার আসামি ফিরোজ খা বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে ছুটি ছাড়াই বাড়ি এসে তিনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক