বরগুনার তালতলী উপজেলায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৮ এপ্রিল) রাত ২টায় উপজেলার মঠখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এনায়েত পিয়াদা। তিনি ছোট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা ভুক্তভোগী নারী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মঠখোলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার রাতে ইউপি সদস্যসহ পাঁচ থেকে ছয়জন সিঁধ কেটে ভুক্তভোগী নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হাত-মুখ ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। পরে অন্য রুমে থাকা তার ভাইকে (তৃতীয় লিঙ্গ) বেঁধে ভুক্তভোগী নারীকে ইউপি সদস্যসহ আরও তিনজন ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর মেয়ে ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে তাদের দেখে ফেলে। পরে সে চিৎকার করলে সবাই পালিয়ে পান। যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে যান তারা।
এদিকে স্থানীয়রা ছুটে এসে একই দিন রাতে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে তালতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘ইউপি সদস্য এনায়েতকে ছাড়া আমি আর কাউকে চিনতে পারিনি। আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি।’
ভুক্তভোগী নারী ভাই জানান, ‘ইউপি সদস্য এনায়েতের নেতৃত্বে চার থেকে পাঁচজন আমাকে ও আমার বোনের মেয়েকে হাত-পা বেঁধে একটি রুমে আটকে রাখেন। অন্য একটি রুমে আমার বোনকে ধর্ষণ করে। যা আমি তাদের ধস্তাধস্তির শব্দে অনুমান করি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা জানান, ‘এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব করা হচ্ছে।’
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে মামলার বাদীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনায় পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ