শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার খান শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ওই ছাত্রীর বাড়িতে। ওই ছাত্রী শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও বজেন খুবির মেয়ে।
ওই কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, গত ঈদের দিন শনিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান শাওন ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসে। এসময় ওই ছাত্রী বাড়ির উঠানে ছিল। ছাত্রলীগ নেতা শাওন তাদের ঘর থেকে বের হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই কিশোরীর ডাকচিৎকারে তার বাবা-মা ঘর থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করে। পরে ওই ছাত্রলীগ নেতা বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ব্যাপারে পর দিন ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকসীর নিকট অভিযোগ করেন। পরে এ নিয়ে দিনভর চলে সালিস। সালিসে সুরাহা না হওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ভিকটিম। পরে রবিবার ওই ছাত্রী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান আদিবাসী নেত্রী রবেদা ম্রংয়ের বাড়ি আশ্রয় নেয়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীহ বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
অবশেষে সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ভিকটিম বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান শাওনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাকাকুড়া এলাকা থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের আগে মুঠোফোনে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার খান শাওন বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। তবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকসী বলেন, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিম বাদী হয়ে থানাায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামি শাহরিয়ার খান শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ