ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বোরহান উদ্দিন কখনও মাদরাসার শিক্ষক, আবার কখনও মসজিদের ইমাম। আর এ লেবাসেই করতেন নানা অপকর্ম। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান, জেলও খেটেছেন বহুবার। তবুও যেখানেই চাকরি করেছেন সেখানেই অভিযুক্ত হয়েছেন অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায়।
হবিগঞ্জের সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত বোরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতুলী থেকে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে নিয়ে যান বোরহান উদ্দিন। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তার পরিবার থেকে র্যাবকে বিষয়টি জানান হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান শুরু করে র্যাব। ঘটনার ১০ দিন পর শুক্রবার অপহরণকারী বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, বোরহান উদ্দিনের বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ধর্ষণ-অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা চলমান। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে তিনি আবারও অপকর্ম শুরু করেন।
সুত্রঃ চ্যানেল ২৪.কম