খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খানকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ মে) বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান এ নির্দেশ দেন। আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২১ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শহীদুর রহমান নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া করা প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম তলায় একা থাকতেন। কিন্তু সেখানে খাবারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্ট্রার ওই নারীকে উপাচার্যের খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন।
এরপর থেকে ওই নারী প্রতিদিন তাকে খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে উপাচার্য বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে জানান। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারী খাবার দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় উপাচার্য তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে উপাচার্যের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য ও ভুক্তভোগী শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে উপাচার্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগী চলতি বছরের ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারকেও আসামি করা হয়।
এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন উপাচার্য শহীদুর রহমান। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক আবদুস সালাম খান জামিন আবেদন বাতিল করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সুত্র: দৈনিক ইত্তেফাক