চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার সহকারী পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ মে) রাতে পটিয়া পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ডের একতা আবাসিক এলাকার আনওয়ারুল কোরআন মারকাজুল তাহফিজ মাদরাসার পরিচালক মো. মঈন উদ্দিন (২৪) প্রকাশ মানিককে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃত মঈন উদ্দিন কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত নুর আহমেদের ছেলে।
পটিয়া থানার (ওসি) তদন্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার পৃথক দুজন অভিভাবক তাদের মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পটিয়া থানায় মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ওই মাদরাসার প্রায় শতাধিক শিশু কোরআন শিক্ষা নেয়। সেখানকার ১০ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছাত্রকে ওই পরিচালক ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বলাৎকার করেছেন।
শিশুটির বাবা বলেন, দেড় বছর আগে তার ছেলেকে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। রবিবার রাতে শিশুটি তাকে হুজুরের নির্যাতনের বিষয়টি জানান। এরপর সোমবার রাতে আমি মাদরাসায় এসে হুজুরকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেই। এতদিন ধরেই ওই শিশুসহ আরো অনেকেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল।
মামলার বাদী অপর শিশুর বাবা জানান, তিনি তার ছেলে ও অন্য শিশুর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে মাদরাসায় গিয়ে জানতে পারে তার শিশু ও হুজুরের নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। তাই তিনি হুজুরকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জহির আমিন বলেন, ভুক্তভোগী শিশুগুলোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসার সহকারী পরিচালককে আটক করে থানার নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর অভিভাবকদের পৃথক দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তাকে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় সে ঘটনার সত্যতা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ