রংপুরের পাগলাপীরে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া নুরুল কোরআন কওমি মাদরাসায় এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ মাদরাসার পাশে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় ওই মাদরাসার তিন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত শাহিনুর আলম (১০) পাগলাপীর মহাদেবপুর সাতমাইল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
নিহত শিক্ষার্থীর মা মোরশেদা বেগম জানান, ছেলেকে হত্যার পর ভুট্টাক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ হত্যার ঘটনার সাথে মাদরাসার শিক্ষকরা জড়িত। ছেলের জন্য গতকাল রাতে খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ওই রাতেই শেষ কথা হয়েছিল।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের। তা না হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান স্থানীয়রা।
রংপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার জানান, শিশুশিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় নিহত শাহিনুরের পিতা শাহ আলম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এই মামলায় কাউকে আসামি করে এজাহার দাখিল করা হয়নি। তদন্ত করে আসামিদের নাম এজাহারে দাখিল হবে বলে জানান ওসি।
পুলিশ আরো জানায়, হত্যার ঘটনার সাথে যারা জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা উদঘাটন হবে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ