দীর্ঘ ১২ বছর আত্মগোপনে ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য হাজী মো. সোলায়মান মুন্সী ইউনুছ আলী (৬৫)। তিনি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার পলাতক আসামি।
মঙ্গলবার ৬ মে দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়ার গোম্বাবর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে
এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামি সোলায়মান মুন্সী দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর যাবৎ অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য হয়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে কাজ করে আসছিলেন। তিনি জনমনে আতংক সৃষ্টি, প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মতাদর্শ প্রচার করে নাশকতামূলক কার্যক্রমে উস্কানি দিচ্ছিলেন।
এটিইউ বলছে গ্রেপ্তার আসামি সোলায়মান মুন্সী মুক্তাগাছা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন মামলার পলাতক আসামি। এ মামলায় ২০১১ সালে মুক্তাগাছার ছালরা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ সোলায়মানের সহযোগী সমর আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-০৯।
সেখান থেকে সোলায়মান মুন্সী কৌশলে পালিয়ে যায় এবং ২০১১ সালের পর থেকে কুমিল্লা, সিলেট, নরসিংদী এবং গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে মৎস্য খামারের ব্যবসা করে আসছিল।
গ্রেপ্তার এই আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় এটিইউ।
সুত্রঃ চ্যানেল আই অনলাইন