টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা সেই নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। জেলা শহরের ব্যুরো হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন নামে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. মালেকা সফি ওই নারীর অস্ত্রোপচার করেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই।
ব্যুরো হাসপাতালের সমন্বয়কারী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২/৩ দিন আগে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। ডা. মালেকা সফি ওই নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করেন।’
ওই নারীর করা মামলায় বড় মনির উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১৫ মে জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। ওই দিন রাতে বড় মনির অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালেই আছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (২ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল কারাগারের জেল সুপার মো. মকলেছুর রহমান বলেন, ‘বড় মনিরকে কারাগারে আনার পর অসুস্থ হলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন থেকেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আপনি (সাংবাদিক) কার্যালয়ে আইসেন বিস্তারিত বলবোনি।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল রাতে ওই নারী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। সেখানে মূল অভিযুক্তের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। এদিকে, ওই নারীকে অন্তঃসত্ত্বা প্রমাণ পেলেও ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিক্যাল বোর্ড। ভুক্তভোগী গত ৬ এপ্রিল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন