জেল-জরিমানার কঠোর বিধান চালুর ৬ বছর পরও থামছে না বাল্য বিবাহ। আইন ভঙ্গ করে বিয়ে দিলে দু’বছর কারাদণ্ড ও লাখ টাকা জরিমানার বিধান ভঙ্গ হচ্ছে হরহামেশাই। বয়সের তথ্য গোপন এবং এলাকা বদল করে রাতের অন্ধকারেও চলছে বাল্যবিয়ের আয়োজন। এখনো ৫১ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে ১৮ বছরের আগে।
বয়স ১৬ হওয়ার আগেই বিয়েতে বাধ্য হচ্ছে ২৭ ভাগ কন্যাশিশু। ১৫ বছর বা তারও কমবয়সী ২৭ শতাংশ কিশোরী বাধ্য হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে।গ্রামের চেয়ে শহরের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও বিভাগের হিসাবে সবচে বেশি ৬৩% বাল্যবিয়ের রেকর্ড রাজশাহীতে।
এর ফলে শিশু বয়সে মা হতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে অনেকে। বাল্যবিয়ের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণে এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে থাকায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে কন্যাশিশুর সম্ভাবনা।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএফপিএ-র প্রতিবেদনে বাল্য বিয়ের দিক দিয়ে এশিয়ায় সবচে এগিয়ে বাংলাদেশ। ১৮ বছর না হতে বিয়ে হওয়া তিন কোটি ৮০ লাখ মেয়ের এক তৃতীয়াংশের বিয়ে হচ্ছে বয়স ১৫ হবার আগে। বাল্যবিয়ের পেছনে শুধু দরিদ্র্যতা নয়, নিরাপত্তাহীনতাও বড় বাধা- বলছেন গভেষক আবু জামিল ফয়সাল।
তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে শুধু কন্যা শিশুর সম্ভাবনা বা ক্ষমতায়নই বাধাগ্রস্ত করছে না, বয়ঃসন্ধিকালে উচ্চহারের গর্ভধারণ ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুঝুঁকিতেও।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী, জেন্ডার সমতা ও কন্যা- শিশুর মুক্ত উচ্চারণ নিশ্চিতে বাল্যবিয়ের হার শূন্যে নামিয়ে আনতে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন চান বিশেষজ্ঞরা।
সুত্রঃ বাংলাভিশন