নাটোরে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার রাত ১২টায় লালপুর উপজেলার দাইড়পাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান (৩১) বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আফসার সরদারের ছেলে।
র্যাব-৫–এর নাটোর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বরে মিজানুর রহমান ফেসবুকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে নাটোর শহরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রায় তিন মাস পর তিনি ওই ছাত্রীর কিছু আপত্তিকর ছবি হাতিয়ে নেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মিজানুর। ভুক্তভোগী ছাত্রী স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাঁকে টাকা দেন। আরও টাকা দাবি করলে ওই ছাত্রী বিষয়টি নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, মিজানুর রহমান আদৌ পুলিশে চাকরি করেন না।
পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মিজানুরের বিরুদ্ধে সদর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। এরপর মিজানুর আত্মগোপন করেন। র্যাবের নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে গতকাল রাত ১২টার দিকে মিজানুর রহমানকে লালপুরের দাইড়পাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন।
র্যাবের নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, মিজানুর রহমান একজন দক্ষ প্রতারক। তিনি ফেসবুকে পুলিশের এসআইয়ের পোশাক পরা ছবি আপলোড করে নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তোলেন। ফেসবুকে পরিচয় হওয়ার পর তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাঁর কিছু অশ্লীল ছবি হাতিয়ে নেন। এই ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং টাকা আদায় করেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো