২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর উত্তর লন্ডনে শরিয়াহ আইনের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন গণমাধ্যমের সঙ্গে মুসলিম প্রচারক আনজেম চৌধুরী কথা বলছেন। ছবি : রয়টার্স/তাল কোহেন
ব্রিটিশ মুসলিম ধর্ম প্রচারক আনজেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিনটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সোমবার পুলিশ জানিয়েছে। তিনি গত সপ্তাহে লন্ডনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সোমবার তাকে লন্ডনের আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫৬ বছর বয়সী চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য পদ, একটি সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া এবং একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন জোগাড়ের জন্য সভায় বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, ২৮ বছর বয়সী কানাডিয়ান খালেদ হোসেনকে হিথ্রো বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে আসার সময় চৌধুরীর মতো একই দিনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগেও একবার ব্রিটেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুসলিম প্রচারক ও লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী চৌধুরীকে ২০১৬ সালে ব্রিটেনে বন্দি করা হয়েছিল। সে সময় তার বিরুদ্ধে আইএসআইএল (আইএসআইএস) সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগ ছিল। পরে তিনি তার পাঁচ বছরের সাজার অর্ধেক সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে মুক্তি পান।
২০১৪ সালের জুন থেকে আইএসআইএলকে ব্রিটেনে একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর জন্য আমন্ত্রণ জানানো একটি ফৌজদারি অপরাধ, যার জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
‘গণনামূলক ও বিপজ্জনক’
বিচারক টিমোথি হলরয়েড তার ২০১৬ সালের সাজা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, চৌধুরী ‘গণনামূলক ও বিপজ্জনক’ ছিলেন এবং কোনো অনুশোচনা করেননি।
চৌধুরী নিষিদ্ধ সংগঠন আল-মুহাজিরুনের সাবেক প্রধান।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের প্রশংসার জন্য এবং বাকিংহাম প্যালেসকে একটি মসজিদে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
ব্রিটিশ পুলিশ আগে বলেছিল, ২০০৫ সালের লন্ডন বোমা হামলার পেছনে এই গোষ্ঠীটিকে চালিকাশক্তি বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ চৌধুরীর সংগঠিত বিক্ষোভে মাইকেল অ্যাডেবোলাজো অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে লন্ডনের একটি রাস্তায় ব্রিটিশ সৈনিক লি রিগবিকে কুপিয়ে হত্যাকারীদের একজন অ্যাডেবোলাজো।
সূত্র : আলজাজিরা, কালেরকন্ঠ