ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন এই আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তিনি ৩৬ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী এক নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারী কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সাথে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাদী ওইদিন সন্ধ্যা সাতটায় তার আত্মীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক