ছাত্র বলাৎকার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জুবায়ের হোসেন নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রের মামা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন।
শনিবার দুপুরে হাফেজ জুবায়ের হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলার পত্তন গ্রামের বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন শাহবাজপুর ইউনিয়নের দাওয়াতুল কোরআন হেফজ মাদ্রাসার শিক্ষক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর বয়সী ছাত্রটি শাহবাজপুর ইউনিয়নের দাওয়াতুল কোরআন হেফজ মাদ্রাসার হাফেজিয়া শাখায় পড়াশোনা করত। একই শাখায় শিক্ষকতা করতেন হাফেজ জুবায়ের হোসেন। ২৬ জুলাই রাতে ওই শিক্ষক ছাত্রটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। এর পর তাকে মাদ্রাসায় বন্দী রেখে একই কায়দায় ২৭ ও ২৮ জুলাই সকালে বলাৎকার করেন। শুক্রবার ছেলেটি বাড়িতে না আসায় তার ছোট মামা রশিদ মিয়া তাকে মাদ্রাসা থেকে আনতে যান। তখন ভুক্তভোগী ছাত্রটি তার মামাকে সব খুলে বলে এবং শারীরিক অসুস্থতার কথা জানায়।
ছেলেটির বড় মামা হাদিস জানান, দেড় বছর ধরে তার ভাগ্নে ওই মাদ্রাসায় পড়ছে। প্রতি শুক্রবার ছুটিতে সে বাড়িতে আসে। তবে শুক্রবার সে বাড়িতে না আসায় ভাগ্নের খোঁজখবর ও বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য তিনি ছোট ভাই রাশেদকে পাঠান। রাশেদ মাদ্রাসায় গেলে ভাগ্নে সবকিছু খুলে বলে। পরে বিষয়ে তিনি বড় ভাই হাদিসকে জানান। পরে তারা পুলিশের শরণাপন্না হন।
শনিবার দুপুরে হাদিস মিয়া বাদী হয়ে ধর্ষণকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধনী/২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। শুক্রবার রাতেই ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। শনিবার ভুক্তভোগীর বড় মামা হাদিস মিয়ার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
সুত্রঃ বাংলানিউজ24.কম