আফগানিস্তানে নারী অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব শিক্ষা দূত ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। একইসঙ্গে আফগানিস্তানে চলমান লিঙ্গ বৈষম্যকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো বিশ্বে নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে জঘন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে আফগানিস্তান। তাদের এইসব পদক্ষেপকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে অন্য দেশগুলোও একই পথে হাঁটতে পারে।”
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর করিম খানকে চিঠি লিখেছেন তিনি৷ করিম খান গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দায়িত্বে আছেন। তবে চিঠির বিষয়ে করিম খানের দপ্তর থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি৷
জাতিসংঘ: সমাজ থেকে নারীদের ‘অদৃশ্য’ করে দিচ্ছে তালেবানজাতিসংঘ: সমাজ থেকে নারীদের ‘অদৃশ্য’ করে দিচ্ছে তালেবান
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানরা ব্যাপকভাবে নারী ও মেয়েদের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। মেয়েদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেছে তারা। নারীদের চলাফেরা, উপার্জন প্রভৃতি কার্যকলাপের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।
গত মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান রোজা ওতুনবায়েভা এক বিবৃতিতে জানান, আফগানিস্তানে নারীদের পার্ক, বিনোদনকেন্দ্র, ব্যায়ামাগার, সরকারি গোসলখানায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি নারীদের প্রকাশ্যে আসতে হলে বোরকা পরে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিশোরী ও নারীদের জন্য স্কুল ও উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করে তাদের ওপর সবচেয়ে বড় দমন-পীড়ন চালায়।
নারীদের প্রতি মানবতা বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তালেবান সরকারের যুক্তি, “ইসলামি আইনের নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে৷”
আফগানিস্তানে এনজিওতে নিষিদ্ধ নারী কর্মীরাআফগানিস্তানে এনজিওতে নিষিদ্ধ নারী কর্মীরা
সোমবার সংবাদ সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “নারী অধিকারের ক্ষেত্রে বর্তমান অনুশাসন অপরিবর্তিত থাকবে৷ আফগানিস্তানে তালেবান খোলা মনে শাসন করছে৷ ইসলামি শরিয়া আইনের ভিত্তিতে বৈধতার ক্ষেত্রে কোনো বড় হুমকিও দেখছে না সরকার৷”
গর্ডন ব্রাউনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তালেবান সরকারের ৮০টি অধ্যাদেশের মধ্যে ৫৪টিতে নারী অধিকার খর্ব করেছে৷
তালেবানের যুক্তির বিষয়ে গর্ডন ব্রাউন বলেন, “ইসলাম ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে নারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা যে ভুল, সেটা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে৷” নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নিতে তালেবান নেতৃত্বকে রাজি করানোর চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তিনি মুসলিম দেশগুলোর উদ্দেশ্যে কান্দাহারে ধর্মীয় নেতাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে তালেবান নেতাদের বোঝানোর আহ্বান জানান৷
সুত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন বাংলা
2 comments
In the shadows of recent times, we stand witness to the strength of Afghan hearts. Many, like us, left home in search of safety and hope for Afghanistan’s renewal. Among struggles, Afghan youth rise unwavering, reflecting the spirit within all of us striving in finance and entrepreneurship.
Let’s stand with them, sharing their stories and celebrating their strength. In the face of hardships spanning two years, these brave souls press on, painting a path to a brighter future. As we remember August 15th, let’s keep alive the resilience that transcends borders and binds us all.
শুধুমাত্র ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করেই জগৎখ্যাত মনীষী, দার্শনিক, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ইত্যাদি হওয়া যায়, ইতিহাস অধ্যায়ন করলে বহু প্রমাণ মেলে।