প্রতীকী ছবি
বন্ধুর কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ভারতের দিল্লি সরকারের এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার (নর্থ ডিস্ট্রিক্ট) সাগর সিং কালসি বলেছেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য কোনো সাক্ষী বা অভিযুক্তের ব্যাপারেও তদন্ত করা হবে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীরও জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ধর্ষণের ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (এএপি)। তারা অভিযোগ করে আসছিল, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে না পারা এ ঘটনার সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল এমন অভিযোগ তোলার পর প্রেমোদয় খাকা নামের ওই কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিল পুলিশ। তিনি দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা সৌরভ ভারদোয়াজ বলেন, ওই কর্মকর্তা জঘন্য এক অপরাধ করেছেন। তাঁর স্ত্রীও জড়িত ছিলেন। এ ঘটনা সমাজকে নাড়া দিয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল অভিযুক্ত কর্মকর্তা খাকাকে বরখাস্ত করার পক্ষে মত জানিয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার মধ্যে মুখ্য সচিবকে একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
অভিযোগ, প্রেমোদয় খাকা ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর এক বন্ধুর কিশোরী মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী এই সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়। স্বামীকে ‘বাঁচাতে’ কিশোরীকে গর্ভপাত করানোর ওষুধ দিয়েছিলেন প্রেমোদয়ের স্ত্রী।
কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তার প্রথম দেখা হয় একটি গির্জায়। ২০২০ সালে ওই কিশোরীর বাবার মৃত্যুর সময় আবার দেখা হয় তাঁদের। বাবার মৃত্যুর পর খাকার বাসায় ওঠে ওই কিশোরী। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন খাকা।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। এ মাসে প্যানিক অ্যাটাক হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন চিকিৎসককে সে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে জানায়। ওই চিকিৎসক জানার পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
সুত্র: প্রথম আলো
1 comment
বন্ধুর কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ভারতের দিল্লি সরকারি ওদের চিড়িয়াখানায় রাখা দরকার,,আর না,,ওরা তো পশুর চেয়েও অধম,,, ওদের দেখল পশুরাও লজ্জা পাবে।