পটুয়াখালীতে এক মাদ্রাসা পরিচালকের বলাৎকারে ১২ বছরের এক শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন ওই মাদ্রাসা পরিচালক।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
তার নাম আল-রাফি (১২)। সে জেলার বাউফল উপজেলার নাজিরপুরের বড়ডালিমা গ্রামের রেজাউল আকনের ছেলে। রাফি উপজেলার নাজিরপুর তাতেঁরকাঠী ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিল্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার হাফেজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সেলিম গাজীর (৪০)। তিনি ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।
শিশুটির বরাত দিয়ে পরিবার জানায়, মৃত্যুর আগে রাফি জানিয়ে গেছে বিভিন্ন কৌশলে প্রায়ই তাকে বলৎকার করতেন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী।
তারা জানান, গত তিন সপ্তাহ আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা ও পরে তাকে ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান তার মলদ্বারে ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। পরে তাকে ঢাকা জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তাদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
রাফির বাবা বলেন, সন্তানকে দিলাম হাফেজ হতে, হয়ে গেল লাশ। আমি এই হত্যার বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর আগে ছেলে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গেছে।
তবে পলাতক এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক শিক্ষক হাফেজ সেলিম গাজীর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
ভাইয়ের জন্য দুধ কিনতে গিয়ে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যুভাইয়ের জন্য দুধ কিনতে গিয়ে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু
নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন, আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে সব প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ সময়ের আলো