গর্ভবতী নারীদের জন্যে ভয়ংকর রূপে হাজির হচ্ছে ডেঙ্গু। পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভবতী নারীদের চারজনের মধ্যে তিনজনই হাসপাতালে ভর্তির দু’তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। এ অবস্থায় জ্বর হলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা ও পজিটিভ হলে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
২৭ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদপুরের রুমা বিশ্বাস। তিনি ৯ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। ২৫ জুলাই মারা যান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম নাজিয়া সুলতানা। তিনি ছিলেন ৮ মাসের গর্ভবতী। এ বছর ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে এমন অনেক সন্তান সম্ভবা মায়ের প্রাণ।
পরিসংখ্যান বলছে, এবার গর্ভবতী নারীদের ডেঙ্গু শনাক্ত ও মৃত্যুর হার দুটোই বেশি। গর্ভবতী নারীদের চারজনের মধ্যে শতকরা তিনজনই হাসপাতালে ভর্তির দু’তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। কিন্তু কেনো গর্ভবতী নারীদের ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার বেশি এ বিষয়ে দেশে কোন গবেষণা নেই।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ব্লাড ট্রান্সফিউশন সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক বলেন, গর্ভের সন্তানের দিকে মনযোগ দিতে গিয়ে আমরা মাকে যতোটা মনযোগ দেওয়া দরকার তার তুলনায় অনেক সময় কম দিচ্ছি, যার ফলে ঝুঁকি বাড়ছে।
তিনি বলেন, মায়ের শরীরে রক্তের পরিমাণ এমনি কম- তার ওপর ডেঙ্গুতে আরও সমস্যা হয়।
ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) পরিচালক এ কেএ এম জহিরুল হোসেইন খান বলেন, আইসিইউতে দেখা যায় অনেকে রাতে ভর্তি হয়ে- সকালে মারা যান। সময় অনেক সময় খুবই কম থাকে। খুব খারাপ অবস্থায় অনেকে আসেন।
চিকিৎসকরা জানান, অনেক ক্ষেত্রে নারীরা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চান না। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে এ ধরনের অবহেলা ও উদাসীনতায় বিপদ হতে পারে।
আরও পড়ুন: জামায়াত নিষিদ্ধের আবেদনের শুনানি ৩১ আগস্ট
বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় নারীর প্রতি অবহেলার কারণে দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াকেও মৃত্যু হার বেশি হবার কারণ বলছেন চিকিৎসকরা।
সুত্র: একাত্ত টিভি নিউজ