দেশে তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির। সংগঠনটি ২-৩ মাস যাবৎ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জুয়েল মোল্লাসহসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. আলীম মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ।
গ্রেপ্তাররা হলেন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা জুয়েল মোল্লাস, রাহুল হোসেন ও গাজিউল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আলীম মাহমুদ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান চালিয়ে জুয়েলকে বাগেরহাট, রাহুলকে জয়পুরহাট ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে জুয়েল সংগঠনের প্রধান। বাকি দু’জন শীর্ষপর্যায়ের নেতা। দু-তিন মাস হলো তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিল। এই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহের পরিকল্পনা করে। মূলত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জসীম উদ্দিন রাহমানীর বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হন জুয়েল। পরে তিনি নতুন এই জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন। জুয়েল নিজেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। জসীম উদ্দিন রাহমানী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাকেও কারাগার থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল জুয়েলের।
এটিইউ’র এ কর্মকর্তা বলেন, সংগঠনটিতে এখন পর্যন্ত ৮০-৯০ জন সদস্য আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের অর্থদাতা কে তা এখনো জানা যায়নি। তবে সংগঠনটির অর্থ সংগ্রহের কাজ করছিল রাহুল। এছাড়া রাহুল বোমা তৈরির দায়িত্বেও ছিল।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক