নাটোরের গুরুদাসপুরে চিকিৎসকসহ একাধিক নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই মধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে তদন্তের স্বার্থে এই কমিটির পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মোবাইল ফোনে ইত্তেফাককে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটোরের সভিল সার্জন মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলামকে নিয়ে ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরে আসে। চলতি সপ্তাহে অধিদপ্তর অভিযুক্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় দপ্তর যৌন হয়রানির ঘটনা তদন্ত করবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। মানহানি করতেই আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।’
যৌন হয়রানির শিকার হয়ে সম্প্রতি এক মেডিকেল কর্মকর্তা (বিসিএস-স্বাস্থ্য) সিভিল সার্জনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এর আগে চিকিৎসক-কর্মচারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যৌন হয়রানির ঘটনায় দীর্ঘ দিন ধরে ইত্তেফাকের অনুসন্ধান চলে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুধু চিকিৎসক নন, ডা. মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নারী কর্মচারীদের যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক