পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্য ও ‘আল্লাহ’র দল’ এর ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
এটিইউ এর পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) ছানোয়ার হোসেন জানান, এটিইউর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার ৭ নং কুসুম্বা ইউনিয়নের ধুরইল এলাকা থেকে মুজাহিদুল ইসলাম (১৯) নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্যকে আটক করে।
আটক মুজাহিদুল জয়পুরহাট পাঁচবিবির দেবখন্ডার (৬নং ওয়ার্ড) ছানোয়ার হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে ৬টি উগ্রবাদী পুস্তক এবং উগ্রবাদী কাজে ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ও দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন ২নং ধরণজী ইউনিয়নের কড়িয়া বাজার থেকে সাকির আহমদ (১৯) নামে অপর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জয়পুরহাট পাঁচবিবির পাড়ইলের মাহবুব আলমের ছেলে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন হাঁটুভাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল্লাহ’র দল এর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইউনুস আলীকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ইউনুস গাইবান্ধা পলাশবাড়ীর গৃধারীপুরের ইউসুফ আলী ছেলে।
ইউনুস নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল্লাহ’র দল এর সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল্লাহ’র দল এর সদস্য হয়ে বাংলাদেশের জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও প্রচেষ্টার অভিযোগে ২০১৭ সালে এসএমপি কোতোয়ালি মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি এসএমপি কোতোয়ালি থানাধীন শাহী ঈদগাহ ময়দান এলাকা থেকে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করাকালীন নিষিদ্ধ সংগঠন আল্লাহ’র দলের ৪ সদস্যকে আটক করে থানা পুলিশ।
এ সময় ইউনুস আলী কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং আত্মগোপন করে। এ ব্যাপারে এসএমপি কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পুলিশ ইউনুসসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত ইউনুসসহ ১০ জন আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ডে রায় প্রদান করেন।
গ্রেপ্তার ইউনুস দীর্ঘ ৬ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। দীর্ঘ নজরদারির পর তাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুত্রঃ ঢাকা পোষ্ট