কুমিল্লার হোমনায় সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করায় এক মাদরাসাছাত্রের শরীরে ইস্ত্রির (আয়রন) ছেঁকা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক আতিকুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চান্দের চর ইউনিয়নের নয়াকান্দি মমতাজিয়া আছমতিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী মো. আবদুল কাইয়ুম (১৫) চান্দের চর গ্রামের প্রবাসী আবদুল কাদিরের ছেলে। সে ওই মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, গ্রেপ্তার শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলাম আর এক শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় আ. কাইয়ুমকে গরম ইস্ত্রি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে ছেঁকা দিয়ে শাস্তি দেয়। এতে তার শরীরের কিছু অংশ ঝলসে যায়। ১৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদরাসার ভেতরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত কাইয়ুমের মা গতকাল সোমবার বিকেলে ছেলের জন্য খাবার নিয়ে মাদরাসায় গেলে ঘটনা প্রকাশ পায়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা, হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন ওই মাদরাসা পরিদর্শন করে ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে মা হাফেজা বেগম পাঁচজনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন। মূল অভিযুক্ত মুহতামিম ও আসামি তিন শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, দেখে মনে হয়েছে, ১০-১২ দিন আগেই পুড়েছে। পোড়া দুই নিতম্বেই গভীর ঘা হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, মাদরাসার সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো থানায় জমা আছে।
আমরা নজর রাখছি।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আসামি আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ