লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৯ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আউয়াল (৩৫) নামে এক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় সম্মিলিতভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল আউয়াল উপজেলার শেখ সুন্দর গ্রামের আব্দুল মোত্তালিবের ছেলে। তিনি উপজেলার পশ্চিম সারডুবি গ্রামের দারুল উলুম রওজাতুস সুন্নাহ নূরানী তা’লীমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম সারডুবি গ্রামের দারুল উলুম রওজাতুস সুন্নাহ নূরানী তা’লীমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা অবস্থিত। মাদ্রাসাটিতে মোট ৩২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ শিক্ষার্থী আবাসিক বাকিরা অনাবাসিক। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ৮ শিক্ষক রয়েছেন। তারা পালাক্রমে একদিন করে রাতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দেখভাল করেন। মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তার ডিউটি শেষে সকালে পছন্দমতো ছাত্রকে তার রুমে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করে এবং তা কাউকে না বলার হুমকি দেয়। একে একে ১৯ শিক্ষার্থী তার বলাৎকারের শিকার হলে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের মাঝে কানাঘুষা থেকে সাম্প্রতিক সময় তা প্রকাশ পায়। অবশেষে নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানায়।
এ ঘটনায় অভিভাবকরা মাদ্রাসায় গেলে কৌশলে ছটকে পড়েন প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। পরে অভিভাবকরা সম্মিলিতভাবে অভিযুক্ত আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থীকে ছুটি না দেয়ার কারণে তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সুত্রঃ সময়ের খবর