জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বান্দরবান শহরে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বনরুপা পাড়া ২ নম্বর গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯৯৯-এ খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বান্দরবান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বনরুপা এলাকার বাসিন্দা অজিত দাশ, লিটন দাশের স্ত্রী রিতা দাশ, অজিত দাশের ছেলে অভি দাশও বোন রিনা দাশ।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ওই নারীর ঘর থেকে হই-চই শুনে তারা গিয়ে দেখেন অজিত দাশ, অজিত দাশের ছেলে অভি দাশ, রিনা দাশ, রিতা দাশসহ মুখোশ পড়া ১০-১২ জন ওই নারীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে বাড়ির উঠোনে নিয়ে আসে। সেখানে রশি দিয়ে তাঁর হাত বেঁধে বটি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় এবং বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়।
এ ছাড়া মুখোশ পড়া কয়েকজন ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
এই বিষয়ে মারধরের শিকার নারী জানান, তাদের বসতবাড়ি নিজেদের দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা দখল করতে চেষ্টা করছে, আর এর ধারাবাহিকতায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি শাস্তির দাবি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন পাল জানান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অজিত দাশ। তাঁর পরিবারসহ ৪-৫ জন নারী এবং ৭-৮ জন মুখোশ পড়া লোকজন নিয়ে ওই নারীকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। ওই নারীর বাড়ির জায়গাটি অজিত দাশ নিজের দাবি করে আসছেন। আর এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, মারধরের পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও অজিত দাশসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
এই বিষয়ে বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, এই ঘটনায় আজ শনিবার সকালে ওই নারী মামলা করেন। মামলায় আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সুত্রঃ যুগান্তর